আজকের চাঁপাই | আপডেট: 5:58 AM, August 21, 2023
মেয়েদের বিশ্বকাপ ট্রফি স্পেনের
খেলা: এর আগে কখনও ইংল্যান্ড কিংবা স্পেন নারী ফুটবল বিশ্বকাপে ফাইনালের দেখা পায়নি। সর্বশেষ ২০১৯ বিশ্বকাপে সেমিফাইনালে ওঠাই ছিল ইংল্যান্ডের সেরা পারফরমেন্স। অন্যদিকে সেবার রাউন্ড অব সিক্সটিনে ওঠাটাই ছিল স্পেন নারী ফুটবলে ইতোপূর্বের সেরা সাফল্য।
অস্ট্রেলিয়া-নিউ জিল্যান্ডে যৌথভাবে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপে সেই স্পেনের মেয়েরা ট্রফি জিতে রচনা করেছে ইতিহাস। সিডনিতে অনুষ্ঠিত ফাইনালে ৭৫ হাজার দর্শক সমর্থনের বিপক্ষে খেলে ইংল্যান্ডকে ১-০ গোলে হারিয়ে স্পেন নারী ফুটবলে জাগরনের গল্প লিখেছে।
২০১০ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার মাটি থেকে স্পেনের ছেলেরা বিশ্বকাপ ট্রফি জয়ের আনন্দে ফুটবলে স্পেন রূপকথা লিখেছিল। ১৩ বছর পর স্পেনের মেয়েদের হাত ধরে এলো সাফল্য।
গ্রুপ রাউন্ডে জাপানের কাছে ০-৪ গোলে বিধ্বস্ত হওয়াটাই তাঁতিয়ে দিয়েছে স্পেনের মেয়েদের। নক আউট পর্বে অন্যভাবে স্পেনের মেয়েরা মেলে ধরেছে। রাউন্ড অব সিক্সটিনে সুইজারল্যান্ডকে ৫-১ গোলে হারিয়ে দেয়ার মধ্য দিয়ে নক আউট পর্বে শুরু তাদের।
কোয়ার্টার ফাইনালে ফেভারিট নেদারল্যান্ডসকে ২-১ গোলে এবং সেমিফাইনালে সুইডেনকে ২-১ গোলে হারিয়ে ফাইনালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে মাঠে কর্তৃত্ব দেখিয়েই বিশ্বকাপ ট্রফি জিতে ৪২লাখ ৯০ হাজার ডলার প্রাইজমানি পেয়েছে স্পেন নারী ফুটবল দল।
৪-১-২-৩ ফরমেশনে শুরু থেকে খেলার নিয়ন্ত্রন ছিল স্পেনের মেয়েদের। বলের নিয়ন্ত্রন ছিল ৫৮%। গোলপোষ্ট লক্ষ্য করেও ইংল্যান্ডের চেয়ে বেশি শট নিয়েছে স্পেনের মেয়েরা। খেলার ২৯ তম মিনিটে ওলগা কারমোসা দারুণ গোল করে জার্সি খুলে উৎসব করেন (১-০)।
ব্যবধান দ্বিগুন করার সুযোগও পেয়েছিল স্পেন। খেলার ৬৮ মিনিটের মাথায় ডি বক্সে ইংল্যান্ড ডিফেন্ডার কেইরা ওয়ালশের হাতে বল লাগলে রেফারি পেনাল্টির বাশি বাজান। হারমোসোর পেনাল্টি শট রুখে দেন ইংল্যান্ড গোলরক্ষক।
সিডনিতে অনুষ্ঠিত ফাইনালে ১৩ মিনিট ইনজুরি টাইম পেয়েও সমতা আনতে পারেনি ইংল্যান্ড। স্পেনের জমাট ডিফেন্সে ইংল্যান্ডের প্রতিটি আক্রমন নাস্যাৎ হয়েছে।