রোহিঙ্গাদের অর্থায়ন কার্যক্রম কমে গেছে অনেটাই : অ্যালিস্টর ডাটন

ঢাকা : রোহিঙ্গাদের অর্থায়নে সাড়াদান কার্যক্রম অনেটাই কমে গেছে। মাসে রোহিঙ্গা প্রতি খাদ্য সহায়তার হার কমে ১০ ডলারে নেমে এসেছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আগের মতো প্রয়োজনীয় তহবিল নিয়ে আমাদের তাদের পাশে থাকা প্রয়োজন। গত ২০১৭-২৩ পর্যন্ত কারিতাস কক্সবাজার ও ভাসানচরে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গা সদস্যদের জন্য জরুরী সহায়তা হিসাবে ৪৫ মিলিয়ন ডলারের কার্যক্রম পরিচালনা করেছে। এ সময়ে প্রায় ১ লাখের মতো ব্যক্তিকে সহায়তা দেয়া হয়েছে। চলতি বছরে রোহিঙ্গা ও হোষ্ট কমিউনিটির জন্যেও ৭ মিলিয়ন ডলার সহায়তা দেয়ার পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে।

বৃহস্পতিবার (৬ জুন) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) নসরুল হামিদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন কারিতাস ইন্টারন্যাশনালিজের সেক্রেটারী জেনারেল অ্যালিস্টর ডাটন।

এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, কারিতাস এশিয়া প্রেসিডেন্ট ড. বেনেডিক্ট আলো ডি’রোজারিও, কারিতাস বাংলাদেশ প্রেসিডেন্ট বিশপ জেমস্ রমেন বৈরাগী, কারিতাস ইন্টারন্যাশনালিজ সেক্রেটারি জেনারেল অ্যালিস্টার ডাটন, কারিতাস বাংলাদেশ নির্বাহী পরিচালক সেবাস্টিয়ান রোজারিও, কারিতাস বাংলাদেশ পরিচালক-অর্থ ও প্রশাসন রিমি সুবাস দাশ, কারিতাস বাংলাদেশ পরিচালক-কর্মসূচি দাউদ জীবন দাস।

তিনি বলেন, গত ৭ বছর ধরে বাংলাদেশ সরকার রোহিঙ্গা শরণার্থীদের যেভাবে সমর্থন দিয়েছে, তাতে আমি গভীরভাবে অনুপ্রাণিত। বিশ্বের নজর যখন অন্য দিকে ধাবিত হয়েছে, তখনও রোহিঙ্গারা এসব ভুলে যাওয়া শিবিরে টিকে থাকার সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু বাংলাদেশ সরকার একাই তাদেরকে সহযোগিতা করবে এটা আশা করা উচিত নয়। অন্যান্য দেশগুলিকেও আগের মতো প্রয়োজনীয় তহবিল নিয়ে তাদের পাশে থাকা প্রয়োজন। অ্যালিস্টার ডাটন বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গত ছয় বছরে ২ লাখেরও বেশি শিশুর জন্ম হয়েছে। এই শিশুরা কখনই তাদের নিজ দেশ দেখেনি ও তাদের কোন জাতীয়তা নেই। তারা রাষ্ট্রহীন। এ বিষয়ে নতুন করে আর্ন্তজাতিক মাধ্যমগুলোকে নজর দিতে হবে। রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবর্তনসহ অধিকার পুনরুদ্ধারের জন্য মিয়ানমারের উপর চাপের পাশাপাশি এই অঞ্চল এবং এর বাইরের দেশগুলিকে সমানভাবে দায়িত্ব নিতে হবে।

অ্যালিস্টার ডাটন রোহিঙ্গাদের জন্য শক্তিশালী মানবিক অবস্থান এবং চলমান সহায়তার জন্য বাংলাদেশ সরকারকে ধন্যবাদ জানান এবং বিশ্ববাসীকে তাদের জন্য আরো সহায়তার আহবান জানান। তিনি বলেন, গত সাত বছর ধরে বাংলাদেশ সরকার রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য যে উদারতা দেখিয়েছে এবং যেভাবে সমর্থন দিয়েছে, তাতে আমি গভীরভাবে অনুপ্রাণিত। কিন্তু বাংলাদেশ সরকার একাই তাদেরকে সহযোগিতা করবে এটা আশা করা উচিত নয়। অন্যান্য দেশগুলিকেও পূর্বের মতো প্রয়োজনীয় তহবিল নিয়ে এই সংকটকালীন সময়ে তাদের পাশে থাকা প্রয়োজন।

অ্যালিস্টার ডাটন কক্সবাজারে শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন বিষয়ক অতিরিক্ত কমিশনার জনাব শামসুদ দৌজা নয়ন, ইন্টার সেক্টর কোঅর্ডিনেশন গ্রুপের প্রিন্সিপাল কোঅর্ডিনেটর, জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধি ও এনজিও প্লাটফরম প্রতিনিধিদের সাথে এবং কার্ডিনাল মহোদয় ও ভ্যাটিকানের রাষ্ট্রদূতের সাথে সাক্ষাৎ করেন। তিনি বর্তমান পরিস্থিতি এবং চ্যালেঞ্জ বিষয়ে ক্যাম্পের কর্মী এবং জোরপূর্বক বাস্তচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিকদের (এফডিএমএন) সাথে কথা বলেন।