আজকের চাঁপাই | আপডেট: 9:42 AM, April 30, 2022
সমাজে সম্মানীত ব্যক্তিবর্গ বৃত্তান্ত
প্রকৃত সম্মানীত ব্যক্তিরা কখনও অন্যদের অসম্মানিত করতে পারেননা। তবে আমাদের সমাজে কিছু শ্রেনীর মানুষ আছেন( দুঃখিত, আমি কাউকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করে বলছিনা) যারা নিজেরা বড় বড় নৈতিকতার বুলি ছাড়েন অহরহ( এই ধরুন.. সুযোগ পেলেই হাটে, ঘাটে,মাঠে… যেখানেই সুযোগ পাবেন উনারা) নিজেদের দাবি করেন বললে ভুল হবে নিজেদের gesture, posture এমনভাবে প্রকাশ করেন যেন উনারা সততার শীর্ষে।
আসলে সততার সংগা কি? আমরা তলিয়ে দেখি যে… সবদিক দিয়ে বলতে, সব বিষয়ে যিনি নৈতিকতার উর্ধ্বে থাকেন তিনিই সৎ।এখন প্রশ্ন আসে নৈতিকতার উর্ধ্বে বলতে কি বোঝায় অর্থাৎ নিশ্চয়ই নৈতিকতার বিপরীত activities এর সামান্য ছিঁটেফোঁটা অংশটুকুও উনাদের মাঝে দেখা যাবেনা উনারাই তো নৈতিকতার উর্ধ্বে তাই নয় কি?
কিন্তু তথাকথিত এই সম্মানীত ব্যক্তিরা কোন কোন জায়গায় নৈতিকতার উর্ধ্বে আবার কোন কোন বিশেষ জায়গায় নৈতিকতার চরম নিম্নে… উনাদের মনে থাকেনা বলে নৈতিকতার ঠিক বিপরীত কর্মগুলো করে ফেলেন।সেখানে উনাদের নৈতিকতা মাটি চাপা দেন।
আবার সমাজর কিছু কিছু নারীরা আছেন সমাজের অসহায় নারীদের নিয়ে জনসেবা করে বেড়াচ্ছেন, বড় বড় বক্তব্য দিচ্ছেন public place এ অথচ এই ফেরেশতারুপী নারীরাই উনাদের বাড়িতে গিয়ে তাদেরই গৃহপরিচারিকাকে গরম খুন্তি দিয়ে ছ্যাঁকা দিচ্ছেন, পরিমানমত খেতে দিচ্ছেননা…bla, bla,bla… উনারা জনসেবা করছেন!!
বাইরে বড় বড় নৈতিকতার বুলি ছাড়ছেন.. অথচ উনারাই সম্মানীত ব্যক্তি কেউ কেউ সমাজে নারী বৈষম্যতা নিয়ে কাজ করছেন অথচ এই সম্মানীত ব্যক্তিদের নিজের বাড়িতেই পরিবারের কেউ কেউ উনাদের কাছে চরমভাবে বৈষম্যের স্বীকার হচ্ছেন।উনারাই নাকি সম্মানীত ব্যক্তি ।
কেউ কেউ নামাজ ও কিছু ইসলামিক বুলি রপ্ত করে সারাদিন সেই রেকর্ড সবার কাছে বাজিয়ে ইসলামকে ঢাল হিসেবে Use করে নিজেরা সমাজের কাছে সম্মানিত হয়ে বসে আছেন।উনারাই সম্মানী ব্যক্তি কেউ কেউ খারাপ কাজের সুযোগ পায়না বলে সেই সুবাদে ভালো থাকার অভিনয় করেন আর বুলি ছাড়েন বড় বড়… কিন্তু সুযোগ এলেই চলে যান লোক চক্ষুর অন্তরালে… উনারাই সম্মানীত ব্যক্তি আবার দেখা যায় কোন অসহায় মহিলা যেমন ধরুন তার পরিবার কোন খারাপ কাজে জড়িয়ে পড়েছে আর তাই তার অসহায়ত্বের কথা কোন মহিলা বিচারককের কাছে সাহায্যের জন্য গিয়েছেন এবং মহিলা বিচারক সেই অসহায় মহিলার সুবিচারও করেছেন কিন্তু দেখা যায় সেই সুদক্ষ,
সবার কাছে প্রশংসিত, সম্মানীত মহিলা বিচারকও ঐ একই কাজ করে অন্য মহিলাকে অসহায় বানিয়ে ফেলেছেন…উনারাই হলেন সম্মানীত ব্যক্তি এভাবেই চলছে সমাজের অসংখ্য উদাহরণস্বরুপ তথাকথিত সম্মানিত ব্যক্তিদের পদচারণা…. মজার বিষয় হলো!!! এইসব তথাকথিত সম্মানিত ব্যক্তিরা… সমাজে এমনভাবে সবার কাছে জায়গা করে নিচ্ছেন যে,
তাদের দেখে বোঝার উপায় নেই এবং তারা দেশটাকে নরক বানিয়ে ফেললেও কেউ তাদের খুঁজে পাবেননা।তাদের গ্রহনযোগ্যতা সবসময়ই। ভীষণ ভয়ংকর এরা.. সমাজের সহজ সরল নিরীহদের এরা সমাজে দোষী সাব্যস্ত করে নিজেরাই তথাকথিত সম্মানিত ব্যক্তি হয়ে সিংহাসনে বসে থাকছেন,
এদের চেনা যাবে তখনই যখন এই সম্মানিত ব্যক্তিরা সুযোগ পাওয়া মাত্র আপনাকে অসম্মানিত করতে ছেড়ে দেবেনা আর তখনই এদের প্রকৃত রূপ প্রকাশ পাবে কারণ প্রকৃত সম্মানিত ব্যক্তি কখনও অন্যদের অসম্মানিত করতে পারেনা হোক না সে যত পাপী, দোষী…… সমাজের নিকৃষ্ট… কিন্তু আপনিতো প্রকৃত সম্মানিত ব্যক্তি তাই নয় কি????
লেখক
সৈয়দা বদরুন নেসা
সহকারী অধ্যাপক
বরেন্দ্র কলেজ, রাজশাহী